top of page

Rohosso Romancho Series - Jack the Reaper Series Killer mystery

  • Writer: SineMeCinema
    SineMeCinema
  • Jul 2, 2021
  • 8 min read

Jack the Reaper Series Killer mystery - written by Sourajit Dey


সাল ১৮৮৮, পিকি ব্লাইন্ডার্স দের সময়ের প্রায় ত্রিশ বছর আগেকার কথা, ইংল্যান্ড কুইন ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীন, শিল্পবিপ্লব সবে শেষ হয়েছে কিন্তু সেটার রেশ তখনো লন্ডনের গলি থেকে রাজপথে ছড়িয়ে, ব্রিটিশ ইকোনমি তুঙ্গে, ভারতবর্ষে রাজত্ব করছেন ভাইসরয় লর্ড ডাফরিন, মহাত্মা গান্ধী সবে ১৮ এ পা দিয়েছেন এবং ব্যারিস্টারি পড়তে পাড়ি জমিয়েছেন লন্ডনে। এহেন লন্ডনের পূর্বপ্রান্তে (ইস্ট লন্ডন) ছিল মূলত নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষদের বসবাস, কিছু কিছু জায়গা ছিল খানিকটা সন্ত্রাস-অধ্যুষিত, এটা হোয়াইটচ্যাপেল ডিস্ট্রিক্ট।


ঐ বছরেরই ৩১ আগস্ট ৩:৪০ am নাগাদ হোয়াইটচ্যাপেলের বাক'স রোড ধরে হাঁটছিলেন চার্লস ক্রস এবং রবার্ট পল নামে ২জন স্থানীয় ব্যক্তি, ওরা লক্ষ্য করেন রাস্তার পশ্চিম দিকে যেন পড়ে আছে একটা বড় বান্ডিল। সন্দেহের জেরে তারা পুলিশ ডাকেন, পাওয়া যায় একটি নৃশংস ভাবে খুন হওয়া দেহ, মৃতার নাম মেরি অ্যান স্মিথ, পেশায় প্রস্টিটিউট, তার গলার নলি এঁফোড়ওঁফোড় করে দেওয়া এবং পেট ছিন্নভিন্ন করে হিঁচড়ে নাড়িভুড়ি বের করে আনা হয়েছে। জানা যায় যে মৃত্যু হয়েছে মোটামুটিভাবে আধঘন্টা আগে, অর্থ্যাৎ খুনীর ক্রাইমস্পট থেকে বেশি দূরে যাবার কথা নয়, কিন্তু ঐ মুহুর্তের তল্লাশীতে কাউকে পাওয়া সম্ভব হয়নি।


বাক'স রো যেখানে শেষ, সেখান থেকেই শুরু হ্যানবেরি রোড। ৮ সেপ্টেম্বর ৬:০০ am নাগাদ

২৯, হ্যানবেরি রোডের বাসিন্দা জন ডেভিস তার বাড়ির সামনেই আবিস্কার করেন অ্যানি চ্যাপম্যান নামে এক মহিলার মৃতদেহ, ইনিও প্রস্টিটিউট, এক্ষেত্রেও পেট সম্পূর্ণ চিরে ফেলা হয়েছে এবং মৃতার গর্ভাশয় বের করে নিয়ে গিয়েছে খুনী। তদন্তে সন্দেহ করা হয়, যেভাবে গর্ভাশয় কেটে নেওয়া হয়েছে, খুনী নিশ্চই একজন ডাক্তার বা এমন কেউ যার রয়েছে বিশেষ অ্যানাটমিকাল ও সার্জিক্যাল জ্ঞান।


২৭ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির কাছে হঠাৎই একটা অনামী চিঠি আসে, (আসল চিঠির ছবি নিচে দেওয়া হল) যাতে লেখা ছিল :-


"Dear Boss,

I keep on hearing the police have caught me but they wont fix me just yet. I have laughed when they look so clever and talk about being on the right track. That joke about Leather Apron gave me real fits. I am down on whores and I shant quit ripping them till I do get buckled. Grand work the last job was. I gave the lady no time to squeal. How can they catch me now. I love my work and want to start again. You will soon hear of me with my funny little games. I saved some of the proper red stuff in a ginger beer bottle over the last job to write with but it went thick like glue and I cant use it. Red ink is fit enough I hope ha. ha. The next job I do I shall clip the ladys ears off and send to the police officers just for jolly wouldn't you. Keep this letter back till I do a bit more work, then give it out straight. My knife's so nice and sharp I want to get to work right away if I get a chance. Good Luck.


Yours truly

Jack the Ripper


Dont mind me giving the trade name


P. S. : Wasn't good enough to post this before I got all the red ink off my hands curse it No luck yet. They say I'm a doctor now. ha ha"


এই চিঠি যেন স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে ওপেন চ্যালেঞ্জ, প্রথমে অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে রাখা হয়েছিল তাই কিন্তু জনসমক্ষে আনতে হয় ৩০ সেপ্টেম্বরে একাধারে ২টি মারাত্মক খুনের পর। অনেকেই দাবী করেন যে এ চিঠি আসলে একটা গুজব, কোনো জার্নালিস্টের উস্কানিমূলক কাজ। কিন্ত এর পর থেকেই এই খুনী (বি/কু)খ্যাত হয়ে ওঠে জ্যাক দ্য রিপার নামে।


৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১টার কাছাকাছি, হোয়াইটচ্যাপেল ডিস্ট্রিক্ট'এর বার্নার্ড রোডে লুই ডিমশুজ নামে জনৈক ব্যক্তি হঠাৎই দেখেন ফুটপাতের ওপর এক মহিলার মৃতদেহ, তার গলা কাটা ও তা থেকে তাজা রক্ত তখনো ঝরছে। মৃতার নাম এলিজাবেথ স্ট্রাইড। পুলিশ আসে ১:১৫ নাগাদ, সন্দেহ করা হয় যে একই খুনী একই ভাবে একে খুন করছিল কিন্তু মাঝপথে লুই ডিমশুজ এসে পড়ায় কাজ অসমাপ্ত রেখেই খুনী পালিয়েছে। এক্ষেত্রেও খুনী বেশিদূর যেতে পারবে না ভেবে, এলাকা জুড়ে তদন্ত শুরু হয় তখনই। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার, ক্রাইম স্পটের থেকে মাত্র ১০-১২ মিনিটের পায়ে-হাঁটা দূরত্বে, মিটার স্কোয়ার'এ, ঠিক পঁয়তাল্লিশ মিনিট পর আরেকটি খুন হতে দেখা যায়, মৃতার নাম ক্যাথারিন এডোস, ইনিও একজন প্রস্টিটিউট, মারাত্মক নৃশংস ভাবে তার মুখ থেঁতলানো, গলা আড়াআড়ি কাটা, উন্মুক্ত কাটা পেট থেকে জরায়ু এবং একটা কিডনি কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয় পুলিশ দিয়ে, শুরু হয় জোর কদমে তদন্ত। রাত ৩টে নাগাদ দ্বিতীয় ক্রাইম স্পটের ১০ মিনিট দূরত্বে গোলস্টোন রোডে কনস্টেবল অ্যালফ্রেড লং একটা সন্দেহজনক নোংরা, রক্তাক্ত ছেঁড়া অ্যাপ্রনের টুকরো পায়, এবং সেটা সরালে দেয়ালে চক দিয়ে লেখা একটা অদ্ভুত লেখা আবিষ্কার করেন : The Juwes are the men that will not be blamed for nothing। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পুলিশ এটাকে একটা জরুরি ক্লু হিসেবে নেয়। জানা যায় যে ছেঁড়া টুকরোটা মৃতা ক্যাথারিন এডোস এর অ্যাপ্রনের অংশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়, জ্যাক দ্য রিপার পুলিশের সামনে দিয়েই চোখে ধুলো দিয়ে যাতায়াত করেছে নতুবা খুনী এই এলাকারই বাসিন্দা। এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে একসাথে জোড়াখুনের কথা কোথাও প্রকাশ করে হবে না, কিন্তু ঠিক দুদিন পর, ১লা অক্টোবর, পুলিশ ডিপার্টমেন্টের হাতে পৌছায় হুবহু এক হস্তাক্ষরে লেখা আরেকটি চিঠি :-


"I was not codding dear old Boss when I gave you the tip, you'll hear about Saucy Jacky's work tomorrow double event this time number one squealed a bit couldn't finish straight off. ha not the time to get ears for police. thanks for keeping last letter back till I got to work again.


Jack the ripper"


এ ঘটনার পর টানা সপ্তাহ জুড়ে পুলিশ খানাতল্লাশি চালায় গোটা এলাকায়, কিন্তু কোনো সূত্র ওব্দি পাওয়া যায়না। ১৬ অক্টোবর, হোয়াইটচ্যাপেল ভিজিলেন্স কমিটির প্রেসিডেন্ট জর্জ লাস্ক একটি পার্সেল পান, অনেকটা ডেভিড ফিঞ্চারের "সেভেন" সিনেমার মতো। যার মধ্যে ছিল ওয়াইনে সংরক্ষিত একটি কিডনি, যা পরীক্ষা করে জানা যায় সেটা ক্যাথারিন এডোসেরই কেটে নেওয়া কিডনি, এবং সঙ্গে ছিল আবারো একটি চিঠি :-


From hell.

Mr Lusk,

Sor

I send you half the Kidne I took from one woman and prasarved it for you tother piece I fried and ate it was very nise. I may send you the bloody knif that took it out if you only wate a whil longer


signed

Catch me when you can Mishter Lusk


তবে এ চিঠি নিয়েও অনেক দ্বিমত রয়েছে, অনেকে দাবী করেন এই চিঠি তৎকালীন কোনো এক মেডিকেল স্টুডেন্ট এর করা প্র‍্যাঙ্ক।


৯ই নভেম্বর, ১৩/মিলার্স কোর্টের বাড়িওয়ালা আসেন বাড়িভাড়া চাইতে, বাড়িতে ভাড়া থাকেন মেরি কেলি এবং তিনিও ঘটনাচক্রে প্রস্টিটিউট। ভাড়া চাইতে এসে দরজা বন্ধ দেখে পুলিশ ডাকেন, এবং তারপর দেখা যায় নিজের ঘরেই বিছানা অবর্ননীয় নৃশংসভাবে খুন হয়ে পড়ে আছেন কেলি। অনেকেই দাবী করেন জ্যাক দ্য রিপারের হত্যার সংখ্যা ১১, কেউ বলেন ১৩, কিন্তু অফিসিয়ালি এই ৫ টি কেসের কথাই মূলত ধরা হয়। আর সবার মধ্যে শেষের খুনটিই সবচেয়ে ভয়ানক, কারণ সর্বাঙ্গে ক্ষত, মুখ চেনার উপায় নেই, শরীরের নানা অঙ্গ কেটে বের করে বিছানা জুড়ে এদিক ওদিক ছড়িয়ে রাখা।


অনেকেই অনুমান করেন যে এই বাড়িটিই আসলে জ্যাকেরও থাকার জায়গা। বহু মানুষ রীতিমতো দাবী করেছেন যে তারা জ্যাক দ্য রিপার কে দেখেছেন। FBI psychological profile অনুযায়ী, জ্যাক ২৮-৩৬ বছরের তাগড়াই জোয়ান, উচ্চতা ৫'৭ প্রায়, ফেয়ার কম্পলেক্সন, গোঁফ-ওয়ালা, পড়নে কালো কোট ও হ্যাট, শৈশবে ফাদার ফিগারের অভাব, এমন কোনো প্রফেশনে সাথে যুক্ত যেখানে কম-বেশি ভায়োলেন্স জড়িত, হয়তো জ্যাকের কোনো শারীরিক অক্ষমতা রয়েছে। প্রতিটি খুনের ভিক্টিম মহিলা এবং তারা প্রস্টিটিউট। সব কটি খুন হয় উইকেণ্ডে, হয় শনিবার নয়তো রবিবার, অনেকটা এই এই গ্রুপের রহস্য-রোমাঞ্চ-সিরিজের মতো। ঐতিহাসিক, কন্সপিরেসি থিওরিস্ট'রা প্রায় ৫০০ এরও বেশি মানুষকে সাসপেক্ট হিসেবে দাঁড় করান, কিন্তু পরবর্তীকালে এও দেখা যায় যে এই সাসপেক্টদেরও অধিকাংশ আবার মনগড়া। তার মধ্যেও ক'জন তাৎপর্যপূর্ণ সাসপেক্ট হলেন :-


মন্টেগু জনসন ড্রুইট, তার কাজিন ছিলেন মেডিকেল স্টুডেন্ট এবং মন্টেগুর নিজেরও সার্জারী নিয়ে যথেষ্ট কৌতুহল ছিল। যখন মারা যান, তার বয়স হয়েছিল ৪০, অর্থ্যাৎ খুনের সময় তার বয়স সন্দেহভাজন বয়স-রেঞ্জের মধ্যেই ছিল। তিনি থাকতেনও লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকাতেই। বিশেষ সূত্রে জানা যায়, আগষ্টের মাঝামাঝি তার মা'র গুরুতর মানসিজ সমস্যা হয় এবং তা থেকে মন্টেগু নিজেও স্যানিটি হারাতে শুরু করেন। তার সেক্সুয়াল বিহেভিয়ারও ছিল ডিস্টার্বিং, ভায়োলেন্ট। তার পরিবারের অনেকেই মনে করতেন তিনিই আসলে জ্যাক দ্য রিপার। ৯ নভেম্বরের শেষ খুনের পর তিনি কাকতালীয় ভাবেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান, প্রায় এক মাস পর ডিসেম্বরে টেমস নদীর তীরে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়।


প্রিন্স অ্যালবার্ট ভিক্টর ক্রিশ্চিয়ান এডোয়ার্ড, যিনি কুইন ভিক্টোরিয়ার ছেলে, তাকেও সম্ভাব্য জ্যাক দ্য রিপার হিসেবে সন্দেহ করা হয়৷ ইস্ট লন্ডনে তার যাতায়াত ছিল, প্রস্টিটিউটদের সাথেও তাকে দেখা যায় এবং সেখান থেকেই সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ সিফিলিস দেখা দেয় তার মধ্যে। অনেকেই মনে করেন যে এরপর থেকেই শুরু হয় তার কুখ্যাত খুনখারাপি, আর তার পরিচয় ধামাচাপা দিতে এগিয়ে আসে খোদ রয়্যাল ফ্যামিলি। রয়্যাল কন্সপিরেসি জড়িয়ে থাকার কারণে এই থিওরী সহজেই অনেক জনপ্রিয় হয়, কিন্তু তথ্য-প্রমান অনুযায়ী বহু থিওরীস্ট এই থিওরীকে নাকচ করে দেন।


অ্যারন কস্মিনস্কি নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ইহুদী পোলিস ছিলেন আরেকজন মুখ্য সাস্পেক্ট। ৩০ সেপ্টেম্বর খুনের রাতে তাকেই ক্রাইন স্পটে দেখেছিলেন বলে দাবী করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী, কিন্তু পরে এই প্রত্যক্ষদর্শী নিজেও ইহুদী হওয়ার কারণে কস্মিনস্কির বিরুদ্ধে চার্জ আনতে চাননি। পরবর্তী কালে লেখক রাসেক এডোয়ার্ডস তার 'Naming Jack thr Ripper' বইতে লেখেন, ক্যাথারিন এডোসের মার্ডার-সিনে একটা শাল পাওয়া যায় যা ফরেন্সিক ডিপার্টমেন্ট ক্যাথারিনের শাল বলেই দাবী করে, এবং তাতে রক্ত আর সিমেন দুয়েরই দাগ পাওয়া যায়, DNA টেস্টে জানা যায় সেগুলো কস্মিনস্কির সাথে মিলেও যায়। কিন্তু পরবর্তী কালে ল্যাবের সাইন্টিস্ট স্বীকার করেন, তার একটা ছোট্ট ভুলের জন্য এরম টেস্ট রেজাল্ট এসছে, আসলে কস্মিন্সকির সাথে কোনো মিলই নেই।


মাইকেল অস্ট্রগ, ইনিও একজন স্ট্রং সাস্পেক্ট। ইনি একজন পাগলাটে রাশিয়ান ডাক্তার ও হোমিসাইডাল ম্যানিয়াক, মেয়েদের প্রতি ভায়োলেন্ট হওয়ার হিস্ট্রি রয়েছে, শোনা যায় সবসময়েই ধারালো সার্জিক্যাল ছুড়ি সঙ্গে নিয়ে ঘুরতেন। খুনের সময়ে তার সন্দেহজনক অ্যালিবাই'ই তাকে একজন প্রাইম সাস্পেক্ট করে তোলে, কিন্ত জ্যাক দ্য রিপারের সাথে কিছু বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য ও প্রমাণের অভাবে তাকে অনেকেই খারিজ করে দেন।


প্রখ্যাত রহস্য রোমাঞ্চ ঔপন্যাসিক প্যাট্রিসিয়া কর্ণওয়েল তার বইতে দাবী করেন, তৎকালীন বিখ্যাত পেইন্টার ওয়াল্টার সিকার্ট জ্যাক দ্য রিপার হতে পারেন। কর্ণওয়েল গবেষণার জন্য সিকার্টের সব পেইন্টিং, চিঠিপত্র কিনে নেন এবং দেখান যে সিকার্ট রীতিমতো জ্যাক দ্য রিপারকে নিয়ে অবসেসড ছিলেন, তার অনেক পেইন্টিঙে জ্যাকের করা খুনগুলির একদম পুঙ্খানুপুঙ্খ দৃশ্য পাওয়া যায়।


জোসেফ বার্ণেট এমন একজন প্রাইম সাস্পেক্ট যার সাথে জ্যাকের সাইকোলজিক্যাল প্রোফাইলের মিল সবচেয়ে বেশি। তারও বয়স ৩০, ৫'৭ লম্বা, হোয়াইটচ্যাপেলেত বাসিন্দা, পেশায় ফিশ-পর্টার, ৬ বছর বয়সে বাবা মারা যান এবং তার স্পিচ ইম্পেডিমেন্ট রয়েছে। শোনা যায়, বার্নেট মেরি কেলির সাথেই থাকতেন ঐ এলাকাতেই, তিনি ছিলেন কেলির রুমমেট কিন্তু বহু জায়গায় তিনি কেলিকে নিজের স্ত্রী হিসেবে উল্লেখ করতেন। সন্দেহ করা হয় তিনি হয়তো কেলির পাণিপ্রার্থী ছিলেন, এবং কোনো পরিস্থিতিতেই মেনে নিতে পারতেন না কেলি প্রস্টিটিউশন'কে। অনেক থিওরীস্টের মতে, কেলিকে প্রস্টিটিউশন থেকে সরাতেই তিনি এই খুন গুলি শুরু করেন, কারণ যতোগুলি খুন হয়েছে তাদের সকলেই প্রস্টিটিউট। মতপার্থক্য ও টাকার অভাবের জন্য তাদের মধ্যে চূড়ান্ত ঝামেলাও হতো অনেক, শেষমেশ বার্ণেট কেলির রুম ছেড়েও দেন। আর তার ঠিক ১০ দিন পরেই কেলি খুন হন নিজের রুমে নিজের বিছানায়। সবচেয়ে সন্দেহের বিষয়, কেলির খুনের পরই রিপারের খুনখারাপি বন্ধ হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই মনে করা হয়, কেলির মৃত্যুর পর আর কাওকে খুন করার স্বভাবতই কোনো দরকার ছিল না।


কিন্তু যে সাস্পেক্ট কে নিয়ে এখনো তুমুল চর্চা হয়, তিনি হলেন জেমস মেব্রিক। তিনি হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় থাকতেন না, মধ্য/নিম্নবিত্তও নন। বরং তিনি ছিলেন তুলোর ব্যাবসায়ী, থাকতেন লিভারপুলের ব্যাটলক্রিস ম্যানসনে। তাই অনেকেই মনে করেন, এটাই হয়তো তার অ্যালিবাই, তাছাড়া শুধুমাত্র উইকেণ্ডের রাতে খুন করাটাও কর্মব্যস্ত মানুষের পক্ষেই সম্ভব। তবে সবচেয়ে বড় এভিডেন্স পাওয়া যায় মেব্রিকের ম্যানসনেই ফ্লোরবোর্ডের নিচ থেকে, একটি ডায়েরি যার প্রথম পাতাতেই লেখা :-


"I give my name that all know of me, So history do tell, what love can do to a gentleman born.


Yours truly,

Jack the ripper"


শুধু তাই নয়, ডায়রিতে পাওয়া যায় প্রত্যেকটি খুনের প্রায় নিঁখুত বিবরণ। ফরেন্সিক টেস্ট করে জানা যায় যে ডায়রির লেখার সময় জ্যাক দ্য রিপার এর সময়কালের সঙ্গে একদম মিলে যায়। কিন্তু এই থিওরীর ভিত টলে যায় যখন জানা যায় যে ডায়রিটা মাইক ব্যারেট নামে এক উঠতি লেখক এটা প্রথম আবিষ্কার করেন, কোথাও কোথাও তিনি স্বীকার করেছিলেন যে ডায়রিটা আসলে ঐ ম্যানসনে তিনিই রাখেন ও গোটা ঘটনাটা সাজাতে চান নিজের কিছু স্বার্থসিদ্ধির জন্য, কিন্তু পরে তিনি এসব কথাও অস্বীকার করেন। তবে ডায়রি ছাড়াও পাওয়া যায় জ্যাক দ্য রিপারের সমএকটি গোল্ড পকেটঘড়ি, যার পিছনের মেটালে খোদাই করা খুন হওয়া সেই ৫জন মহিলার নামের আদ্যক্ষর এবং তার সঙ্গে লেখা "I am Jack.... J. Maybrick"। ফরেন্সিক টেস্ট অনুযায়ী এ খোদিত লেখার ডেট আনুমানিক ১৮৪৬ নাগাদ। তবে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণের অভাবে এই থিওরীও সম্পূর্ণ মান্যতা পায়নি। কারণ, লণ্ডনের যেদিকে হোয়াইটচ্যাপেল, তার থেকে অনেক দূরে সম্পূর্ণ বিপরীতে লিভারপুল, যেখানে থাকতেন জেমস মেব্রিক।


অনেকেই এও দাবী করেন যে জ্যাক দ্য রিপার কে কখনো না পাওয়ার বড় কারণ পুলিশ শুধুমাত্র পুরুষ সাসপেক্ট দেরই তদন্ত করছে, কিন্তু আসলে খুনী পুরুষের ছদ্মবেশে এক মহিলা, 'Jill the Ripper'।


সম্ভাব্য সাস্পেক্ট এছাড়াও রয়েছেন আরো অনেকে, তবে কারো ক্ষেত্রেই ফুলপ্রুফ এভিডেন্স আজ ওব্দি নেই। ইতিহাসের সেরা ভয়ংকর ও অমীমাংসিত রহস্যের মধ্যে জ্যাক দ্য রিপার প্রথম সারিতে ছিল সবসময়ই। ভাবতে অবাক লাগে, ১৮৮৭ সালেই প্রথম বইএর পাতায় প্রকাশ ঘটে সেরা গোয়েন্দা শার্লক হোমসের, তাও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে কেন্দ্র করেই। আর তারই ঠিক পরের বছর সত্যিকারের আবির্ভাব ঘটে এই কুখ্যাত খুনীর, যার রহস্য আজ ওব্দি উদঘাটিত হয়নি। তবে গবেষণা আজো চলছে। ঐতিহাসিক, কন্সপিরেসি থিওরীস্ট, সাধারণ মানুষ অনেকেই নতুন নতুন থিওরি নিয়ে আসেন। অফিসিয়ালি একাজের জন্য রয়েছে বিশেষ ওয়েবসাইট casebook.org এটি জ্যাক দ্য রিপার সম্পর্কিত একটি আর্কাইভ বলা যায়।


এই কুখ্যাত খুনীকে নিয়ে কালে কালে হয়েছে অগুনতি সিনেমা, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল : From hell (2001), Murder by decree (1979), jack the ripper (1959, 1976, 2016), A study in terror (1965), The lodger (1944, 1932, 2009) etc.


Reference :


Wikipedia - https://en.wikipedia.org/wiki/Jack_the_Ripper


Jacj the ripper official archive & research site. - https://www.casebook.org/


Youtube - https://youtu.be/qg2nGY1aqlg

& https://youtu.be/u8VF4WKmccc


এই সিরিজের অন্যান্য লেখাগুলি : https://m.facebook.com/groups/2078994075553614?view=permalink&id=2869312816521732

Comments


Post: Blog2_Post

Subscribe Form

Thanks for submitting!

8660898926

  • Facebook
  • Twitter
  • LinkedIn

©2021 by SineMeCinema. Proudly created with Wix.com

bottom of page